এবারে শিকারী কুকুর দুটোর মালিক দ্বিতীয় মিঞা আফ্রিদি দৈত্যকে কুর্ণিশ জানাল। সে বলল– ‘দৈত্যরাজ আমার কাহিনী শুনলে তুমি এতই অবাক হয়ে যাবে যে, মুখ দিয়ে রা পর্যন্ত বেরোবে
না। যে কিস্সা এইমাত্র শুনলে তার চেয়ে এটা অনেক, অনেক বেশী চটকদার। আমার কিস্সা যদি বাস্তবিকই তোমার দিলকে একটু- আধটুও নাড়া দেয় তবে সওদাগরের গুনাহ-র অল্প হলেও মাফ করে দিও তুমি।'

আফ্রিদি দৈত্য মুচকি হেসে বলল— “তাই হবে যুবক। তোমার কিস্সা শুরু কর।'----

যুবক এবার কুকুর দুটোর দিকে অঙুলি-নির্দেশ করে বলল— 'এ- শিকারী কুকুর দুটো কিন্তু মোটেই সাধারণ কুকুর নয়। আমার দু'ভাইয়া, সহোদর ভাইয়া। উভয়েই আমার বড়। আমাদের আব্বাজান
মৃত্যুসজ্জায় তিন হাজার মোহর তিন বেটার নামে ভাগ করে দিয়ে যান। আমার অংশ দিয়ে আমি একটা দোকান খুলে বসলাম। আমার ভাইজনরাও আলাদা আলাদা দোকান খুলল।

কিছুদিন যেতে না যেতেই আমার ভাইজানদের একজন দোকান গুটিয়ে এক সওদাগরের সঙ্গে বাণিজ্য করার উদ্দেশ্যে ভিন্ দেশে পাড়ি জমাল।

এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আমার সে ভাইজান নিঃস্ব-রিক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরল। আমি তাকে বল্লাম— ‘তোমাকে তো হাজারবার নিষেধ করেছিলাম সওদাগরের সাথে ভিন্‌দেশে গিয়ে
কাজ নেই। কিছুতেই সে-কথা কানে নিলে না। হয়তবা খোদাতাল্লার এটাই মর্জি ছিল। তাই তো তোমার নসীব এরকম হ’ল।'

বুঝিয়ে শুনিয়ে তাকে এবার এনে আমার দোকানে বসালাম। নদীর পানিতে গোসল করে এলো সে। আমার ভাল পোশাক আশাক পরালাম। তারপর দু' ভাইয়া খানাপিনা খেলাম। একথা- সেকথার মাঝে তাকে বল্লাম—
'ভাইজান, এক বছরে দোকানে মুনাফা ভালই হয়েছে। আসল তো রয়েই গেছে। তার ওপর হাজার দিনার নগদ মুনাফা ! তুমি তার অর্ধেক নিয়ে নাও। আবার দোকান সাঁজিয়ে বস। দেখবে তাতেই ভাল চলে যাবে। বেশী মুনাফার দরকার
কি । অল্পেতে সন্তুষ্ট থাকলে জীবনে সুখের হদিস পাওয়া যায়। কথায় আছে, অতিলোভে তাঁতী নষ্ট।

আমার বাৎলানো বুদ্ধি সে নিল। আবার পসরা সাজিয়ে বসল। কিছু দিন এভাবে কাটার পর এক সকালে আমার দু' ভাইয়া আমার বাড়ি হাজির হ’ল। বলল— ‘একদল সওদাগর বাণিজ্যের
উদ্দেশে ভিনদেশে যাচ্ছে। তারাও সাব্যস্ত করেছে তাদের সঙ্গে সঙ্গ দেবে।

আমি সবিস্ময়ে তাকালাম ।
তারা বলল— ‘দোকানদারীতে কোনরকমে পেটের ভাত হতে পারে বটে কিন্তু আমীর হওয়া সম্ভব নয়। তারা আমীর হওয়ার জন্য অত্যুগ্রাহী। আমাকেও তাদের সঙ্গে যাওয়ার জন্য জোর জবরদস্তি
শুরু করে দিল।

আমি আপত্তি জানাতে গিয়ে বল্লাম— সে কী, বাণিজ্যে যাবে কি হে? একবার গেলে তাতেই তো শখ মেটার কথা। আবারও যাওয়ার জন্য নাচাকুদা শুরু করে দিয়েছ! শরম হওয়া উচিত !

আমার কাছ থেকে ধাঁতানি খেয়ে তারা তখনকার মত নরম হ'ল বটে কিন্তু মাঝে মাঝেই একথা-সেকথা পেড়ে লালসার জালে আমাকে আটকাতে কসুর করল না। বাণিজ্য করে কত ফকির আমীর ও বাদশা হয়ে গেল এমন সব কথাও কৌশলে আমার কানে তুলতে কসুর করল না। কিন্তু আমি কিছুতেই নরম হলাম না।

মুখ ব্যাজার করে তারা সেদিনও ফিরে গেল বটে কিন্তু বাণিজ্যের ভূত তাদের মাথা থেকে নামল না। নানা কৌশলে আমাকে রাজী করাতে চেষ্টা করতে লাগল। আমিও যুক্তিতক্ক দিয়ে তাদের প্রতিবারই ফিরিয়ে দিলাম। পর পর দু'বছর ধরে তারা প্রয়াস চালাবার পর এক সময় আমি আর গররাজি হতে পারলাম না। তাদের কথায় মত দিতে গিয়ে বল্লাম – “ঠিক আছে, দু’ বছরে তোমরা কে কি কামিয়েছ আমার সামনে রাখ। কারবারের হালৎ আগে দেখি।

আমার কথা মত তারা দু'হাজার দিনার এনে আমার সামনে রাখল। আলোচনার মাধ্যমে তিন ভাই একমত হলাম, তিন হাজার দিনার নিয়ে আমরা বাণিজ্যে যাব। আর বাকী তিন হাজার মাটিতে পুঁতে রেখে দেব। বলা তো যায় না, আর-উপার্জন করতে গিয়ে যদি লোকসান হয় তবে আর কেঁদে কূল পাওয়া যাবে না। এতে দেশে
ফিরে আর অথৈ পানিতে পড়তে হবে না।

আমার পরামর্শে সম্মত হ’ল। মাথা পিছু একহাজার দিনার নিয়ে মণিহারী মালপত্র কিনে নৌকো বোঝাই করলাম। খোদাতাল্লার নাম নিয়ে আমরা তিনজন নৌকো জলে ভাসালাম।

প্রায় একমাস নৌকো চালিয়ে বেশ জাঁকজমকপূর্ণ এক বন্দরে আমাদের নৌকো ভেড়ালাম, একদিন থেকে দশ দিনার লাভে একটা জিনিস বেচে আবার নোঙর তুল্লাম। এবার আমাদের লক্ষ্য আরও বড় কোন বন্দর, কোন বড় শহর। কয়েকদিন পর এক বন্দরে আবার নৌকো নোঙর করলাম।

কেনা-বেচা চালাতে চালাতে এক রূপসী-যুবতীর সঙ্গে আমাদের চিন পরিচয় হ’ল। খুবই গরীব। ছেঁড়া-ফাঁটা কাপড় পোশাক ছাড়া এমন পোশাক তার নেই যা দিয়ে ভালভবে লজ্জা নিবারণ করতে
পারে। সে আমাদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করল। আর এ-ও বলল, আমাদের সাহায্যের বিনিময়ে রান্নাবান্না থেকে শুরু করে সওদা করা পর্যন্ত সব কাজই করতে রাজী। নগরে থাকার আস্তানা বা তিনকূলে আপনজন বলতে কেউ-ই তার নেই।

যুবতীটির কথা শুনে মনে হ’ল সে উঁচু বংশোদ্ভুতই বটে। আমি তাঁকে আমার নৌকায় তুলে নিলাম। কামকাজ মন চাইলে করবে, না চাইলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবে, কই বাৎনেহি।'

রূপসী-যুবতী এবার একটু সাহস পেয়ে বলল– ‘তা-ই যদি হয় তবে আমাকে শাদী করে নিজের কাছে রাখতে আপত্তি কোথায়?'

যুবতীর কথাগুলো আমার খুব মনে ধরে গেল। উপরী পাওনা তার অঢেল রূপ আর দেহের অনন্য যৌবনের জোয়ারটুকু। ভাবলাম বিদেশ বিভূঁইয়ে যদি এমন এক রূপসী-যুবতীর সঙ্গ লাভ করা যায়
মন্দ কি? অমত করতে মন চাইল না। নৌকোয় তুলে নিলাম অপরূপাকে। সাগরের পানিতে ভাল করে গোসল করিয়ে আমার বাঞ্ছিতা রূপসীকে সাফসুতরা করে নিলাম। পরিয়ে দিলাম দামী পোশাক। আঁখির কোলে সুরমা আর গায়ে ছিটিয়ে দিলাম দামী আতর। ভাল খানাপিনা দিয়ে তার মন ভরিয়ে তুল্লাম। নৌকোর গলুইয়ে বসে ফুরফুরে বাতাসে উভয়ে কতই না গল্প করলাম। ভবিষ্যতের রঙীন খোয়াবে মন প্রাণ ভরে তুল্লাম। আমারা খুব সহজেই পরস্পরকে কাছে টেনে নিলাম। মাথার
ওপর কুমড়োফালি চাঁদ। তারই ছায়া ছড়িয়ে পড়েছে সাগরের বুকে। আমি তার হাতে একটা হাত রাখলাম। বিস্ময় মাখনো দৃষ্টিতে তার রূপ-সৌন্দর্য পান করতে লাগলাম। তার নরম হাতের ছোঁয়ায় আমার বুকের মধ্যে কলিজাটা যেন চনমনিয়ে উঠতে লাগল। আমরা ক্রমেই ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর হতে লাগলাম। ঝিরঝিরে বাতাসে মনে রোমাঞ্চ জাগিয়ে তুলতে লাগল। তার তুলতুলে বুকে আমার মুখটাকে গুঁজে দেবার জন্য চিত্ত-চাঞ্চল্য বোধ করতে লাগলাম। নৌকার গলুইয়ে আর বসে থাকা সম্ভব হ’ল না। কামোন্মাদনা আমাকে উত্ত্যক্ত করতে লাগল! অনন্যোপায় হয়ে উঠে পড়লাম। তার নিটোল সরু
কটিদেশ কখন আমার চঞ্চল হাত দুটো বেষ্টন করে ফেলেছে বুঝতেই পারি নি। সে আবেশে জড়ানো আঁখি দুটো মেলে, নীরব চাহনিতে অপলক দৃষ্টিতে আমার যৌবনাক্রান্ত দেহটাকে যেন জরীপ করতে
লেগে গেল। সে যেন বাস্তবিকই এক অনাস্বাদিত আনন্দ। তার উত্তপ্ত বক্ষটিকে আমার বক্ষের সঙ্গে সাপ্টে নিয়ে কোনরকমে শোবার ঘরে ফিরে এলাম।
শুইয়ে দিলাম কচি ঘাসের মত নরম বিছানায়। আমার কামতপ্ত প্রশস্ত বক্ষের চাপে সে যেন কোন এক অন্ধকার অতল গহ্বরে তিলে তিলে হারিয়ে যেতে লাগল। কারো মুখে কোন ভাষা নেই, আঁখিতে আঁখি রেখে কথা। উভয়ের মধ্যেই কেবল আবেগ উচ্ছ্বাস আর পরস্পরের আত্মদানের মাধ্যমে আত্মতৃপ্তি লাভের সুতীব্র বাসনা বার বার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে লাগল।

দিন যায়, সপ্তাহ কাটে। আমাদের মহব্বত ক্রমেই গভীর থেকে গভীরতর হয়ে বাড়তে লাগল।
আমাদের সুখটুকু আমার ভাইয়া দু'জনের মধ্যে আনন্দ সঞ্চার করতে পারল না। ঈর্ষায় জ্বলে-পুড়ে খাঁক হয়ে যেতে লাগল তারা।

আমি বয়সে কনিষ্ঠ। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। তাদের বয়স অপেক্ষাকৃত বেশী। আমার মত যৌবনের উন্মাদনা তো আর তাদের দেহ-মনকে এমন করে উত্যক্ত করে না। কোন রূপসী তাদের দিকে ফিরেও
তাকায় না, তো সে দোষ কেন আমার। আমাদের ওপর, আমাদের ঘরে তাদের ঈর্ষাজর্জরিত কৌতূহলী চোখগুলো ঘুরপাক খেতে লাগল। আর আমাদের নিয়ে সর্বদা ফুসুর ফাসুর করতে লাগল
নিজেদের মধ্যে। এক সময় দরজার ছিদ্র দিয়ে তাকিয়ে, দেওয়ালের ফাঁকে চোখ রেখে তারা দেখতে লাগল আমি কিভাবে আদরে সোহাগে বিবির মধ্যে কামোন্মদনা জাগিয়ে তুলি। সে কিভাবে নিজের দেহের স্পর্শে আমাকে হিংস্র জন্তুতে পরিণত করে সম্ভোগের প্রেরণা জোগায়—তারা সে সবের ওপর গোপনে নজর রাখতে লাগল। এমনকি আমাদের একান্ত গোপন কার্যকলাপও তারা চুপিসারে দেখে নিতে লাগল। আর এরই মাধ্যমে তারা তাদের বিকৃত বাঞ্ছা পূরনে
লিপ্ত থাকত। আমার বুঝতে বাকী রইল না শয়তান তাদের কাঁধে চেপেছে। সহজে নামার নয়।

আমার দুই বড় ভাইয়া কেবলমাত্র আমাদের গোপন দৃশ্যাবলী দেখে তৃপ্ত হতে পারল না। আরও জঘন্যতম পরিকল্পনায় লিপ্ত হল।

এক রাত্রে আমরা আলিঙ্গনাবদ্ধ হয়ে গভীর নিদ্রায় ডুবেছিলাম। তারা অতি সন্তর্পনে ঘরে ঢুকে আমাদের দু'জনকে তুলে নৌকার ছইয়ের বাইরে নিয়ে গেল। নির্মমভাবে উত্তাল উদ্দাম সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলে দিল।
তখনই এক অবিশ্বাস্য দৃশ্য দেখে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। অথৈ জলে হাবুডুবু খেতে খেতে আমি দেখতে পেলাম, আমার বিবি অতিকায় এক জিনির আকৃতি ধারণ করে আমাকে পুতুলের মত কাঁধে তুলে নিল। এবার দিব্যি লম্বা লম্বা পা ফেলে নির্বিবাদে জলের ওপর দিয়ে হেঁটে তীরের দিকে এগিয়ে যেতে লাগল। এক অজানা-অচেনা দ্বীপে নিয়ে গেল আমাকে। নির্জন-নিরালা দ্বীপের জমাটবাঁধা অন্ধকারে নামিয়ে দিয়ে চোখের পলকে সে অন্তর্ধান হ'ল। ভোরের আলো ফুটে উঠলে সে আবার আমার কাছে এল। দুষ্টুমিভরা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি-মধুর সুরেলা কন্ঠে বলল- 'আমায় চিনতে পারছ? কে আমি, বলতে পার?

তার সুবিশাল বপুটির দিকে আমি নীরব চাহনি মেলে সবিস্ময়ে তাকিয়ে রইলাম।

- সে ফিক করে হেসে বলল— এই দেখ, তুমি দেখছি সত্যি আমায় চিনতে পারছ না। আমি তোমার বিবি। অবধারিত মৃত্যুর কবল থেকে আমি তোমাকে ফিরিয়ে এনেছি। খোদাতাল্লার ওপর আমার বড়ই আস্থা। তাঁর বাসনা হয়ত এরকমই ছিল। আর তার দোয়া থাকলে অসম্ভব বলে কিছু থাকে না। তুমি আমাকে আশ্রয় দিয়ে যে মহত্বের পরিচয় দিয়েছিলে— আমি তাতে বিস্মৃত হইনি। আজ তোমাকে প্রাণে বাঁচাতে পেরে কী যে আনন্দ পাচ্ছি তা ভাষায় বুঝানো যাবে না! আমি আজই তোমার শয়তান ভাই দুটোকে খুন করে প্রতিশোধ
নেব।

আমার ভাইদের হত্যা করবে শুনে মনটা হঠাৎ বিষিয়ে উঠল। আমি আৎকে উঠে বললাম— 'তুমি আর যা-ই কর, আমার ভাইদের খুন করো না। কথায় আছে, মূর্খের অশেষ দোষ। উপকারীর
উপকারের প্রতিদান কিভাবে দিতে হয়, তা তাদের অজানা। উপকারীর সর্বনাশ করতেও দ্বিধা করে না। শয়তানরা চেষ্টা করেও ভাল হতে পারে না। আর সেটাই তাদের সবচেয়ে বড় শাস্তি মনে করা যেতে পারে।

জিনি চেঁচিয়ে ওঠে— 'অসম্ভব! শয়তান দুটোকে কিছুতেই ছেড়ে দেব না। আমি কোতল করব। মৃত্যুই তাদের একমাত্র প্রাপ্য।'

কথা বলতে বলতে সে আমাকে কাঁধে তুলে নিল। আকাশপথে উড়তে আরম্ভ করল। আমাকে আমার বাড়ির সামনে নামিয়ে দিল। এবার সোজা গাছতলায় গিয়ে পুঁতে রাখা দিনারগুলো তুলে ফেললাম। দোকানে গেলাম। দরজা খুলে দেখি সবই ঠিকঠাক আছে। বন্ধ করে বাড়ি ফিরলাম। দেখি, দুটো শিকারী কুকুর আমার দরজায় বাঁধা। আমাকে দেখেই তারা কেঁদে আকুল হতে লাগল। কাছে গেলাম। তারাও এগিয়ে এল। আমার জোব্বার কিনারা কামড়ে ধরে টানতে লাগল। ব্যাপার কি মাথায় এল না। ঠিক তখনই আমার বিবি জিনির আবির্ভাব ঘটল। মুচকি হেসে বলল– 'এ-শিকারী কুকুর দুটো তোমার দু’ভাই। আমার ছোট বহিন যাদুবিদ্যায় পারদর্শিনী, সে বলেছে এরা দশ বছর কুকুর হয়েই থাকবে। কেউ এদের মানুষের চেহারা ফিরিয়ে দিতে পারবে না।'

এবার দশ বছর পূর্ণ হ’ল। আমি কুকুররূপী আমার ভাইজানদের নিয়ে পথে নেমেছি। জিনি-র সে-বহিনের খোঁজ করে বেড়াচ্ছি। তার দেখা মিললে অনুরোধ করব যাতে সে আমার ভাইজানদের আগের চেহারা ফিরিয়ে দেয়। তার খোঁজে পয়দল চলতে চলতে এখানে গাছটার তলায় এদের দেখা পেলাম। এরাই সওদাগরের দুঃখের কিস্সা বলল। অপেক্ষায় আছি দেখি, এর শেষ কোথায়।