হাছন রাজায় বলে ও আল্লা
ঠেকাইলায় ভবের জঞ্জালে ।
বেভুলে মজাইলায় মোরে
এই ভবের খেলে ॥

বন্ধের সনে প্রেম করিবার
বড় ছিল আশা।
ভবের জঞ্জালে ফেলে
করিলে দুর্দশা ॥

স্ত্রী হইল পায়ের বেড়ি
পুত্র হইল খিল ।
কেমনে করিবায় হাছন
বন্ধের সনে মিল ॥

স্ত্রী পুত্রের মায়ায় রইলায়
ভবেতে মজিয়া।
মরণ পরে স্ত্রী পুত্র না
পাইবায় খুঁজিয়া ॥

(আর) বাপ মইলা, ভাই মইলা
আর মইলা মাও।
এব কিনা বুঝলায় হাছন
এ সংসারের ভাও ॥

(আর) দিন গেল হেলে হেলে
রাত্রি গেল নিন্দে।
ফজরে উঠিয়া হাছন
হায় হায় করি কান্দে ॥

(আর) কান্দিয়া হাছন রজায় কয়
আরপীন নগর বইয়া।
দিবা নিশি আছি কেবল
বন্ধের চরণ চাইয়া ॥