কে নিবি ফুল কে নিবি ফুল ?
টগর যুথী বেলা মালতী
চাঁপা, গোলাপ, বকুল
নার্গিস ইরাণী-গুল ॥

আমার যৌবন-বাগানে
হাওয়া লেগেছে ফুল-জাগানে।
চ'লে যেতে ঢ’লে পড়ি
খুলে পড়ে এলোচুল ।
তনু-মন আকুল আঁখি ঢুলঢুল ॥

ওগো, ফুটেছে এত ফুল ফুলমালী কই ?
গাঁথিবে মালা কবে ? সেই আশে রই।
সে মালা দেব কা’রে, ভেবে সারা হই ।
সহিতে পারি না এ ফুল-ঝামেলা
চামেলী-পারুল ॥





আমি ময়নামতীর শাড়ি দেব,
চল আমার বাড়ী,
ওগো ভিন্-গেরামের নারী।
সোনার ফুলের বাজু দেব
চুড়ি বেলোয়ারী,
ওগো ভিন্-গেরামের নারী ॥

বৈঁচি ফলের পৈঁচি দেব,
কল্‌মি-লতার্ বালা,
গলায় দেব টাট্ কা-তোলা
ভ’টি -ফুলেরি মালা,
রক্ত-শালুক দিব, পায়ে
প’রবে আলতা তা'রি।
ওগো ভিন্-গেরামের নারী ॥

হলুদ-চাঁপার বরণ কন্যা!
এস আমার নায়,
সর্ষে-ফুলের সোনার রেণু
মাখাব ঐ গায়।
ঠোঁটে দিব রাঙা-পলাশ,
মহুয়া ফুলের মৌ,
বকুল-ডালে ডাক্‌বে পাখী -
“বউ গো কথা কও”।
আমি সব দিব গো যা’ পারি আর
যা’ দিতে না পারি,
ওগো ভিন্-গেরামের নারি ॥





ঝিলের জলে কে ভাসালো
নীল শালুকের ভেলা,
মেঘলা সকাল বেলা ।
বেণু-বনে কে খেলে রে
পাতা-ঝরার খেলা ॥

কাজল-বরণ পল্লী মেয়ে
বৃষ্টি-ধারায় বেড়ায় নেয়ে
ব’সে; দিঘির ধারে মেঘের পারে
রয় চেয়ে একেলা।

দুলিয়ে কেয়া-ফুলের বেণী-
শাপলা-মালা প'রে,
খেলতে এল মেঘ-পরীরা
ঘুমতি নদীর চরে ।

বিজলীতে কে দূর বিমানে
সোনার চুড়ির ঝিলিক্‌ হানে,
বনে বনে কে বসালে।
যূঁই চামেলীর মেলা ॥